বেড়েছে অনলাইন শ্রেণিকক্ষ; নেয়া হচ্ছে পরীক্ষাও
বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ডুবে থাকে কিশোর-কিশোরী এবং তরুণরা। সেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবার তাদের পড়ালেখার অন্যতম সঙ্গী হয়েছে। লকডাউনে বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তাদের অনলাইন শিক্ষা কর্মসূচি চালু করেছে। শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অভিভাবকরা বলেছেন এটি মোটেও স্বাভাবিক ক্লাস ও ক্লাস পরীক্ষার বিকল্প নয় যা বিপদকালে খুব বড় ভূমিকা পালন করছে।
শিক্ষকরা জানিয়েছেন, একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মূল উপাদান হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি কথা বিবেচনা করে সরকার বাধ্য হয়েছে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিতে। কারণ শিক্ষার্থীদের সুস্থতার ঝুঁকি তারা নিতে পারেন না।শিক্ষার্থীদের সুস্থতার কথা ও সামাজিক গুরুত্ব বিবেচনা করে বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তাদের অনলাইন শিক্ষা কর্মসূচি চালু করেছে এবং পরীক্ষা নিয়ে যাচ্ছেন।
এ ক্ষেত্রে অভিভাবকদেরও ইতিবাচক মত প্রকাশ পেয়েছে। তারা জানিয়েছেন অনলাইন ক্লাস এর মাধ্যমে তারা তাদের সন্তানদের নিজেরাই পড়াশোনায় সাহায্য করতে পারছেন এবং বাচ্চারা পড়াশোনায় আগ্রহী। দীর্ঘ লকডাউনে পড়াশোনার অবস্থা গতিশীল রাখতে অনলাইন ক্লাস এর ভূমিকা অপরিহার্য
এ বিষয়ে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তারা তাদের শিক্ষকদের ওপর কৃতজ্ঞ কারণ তারা অনেক পরিশ্রম করে অনলাইন ক্লাস করিয়ে থাকেন। হলে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর উচিত যত্ন সহকারে অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণ করা এবং নিজ দায়িত্বে নিজের পড়াগুলো পুষিয়ে নেওয়া। দীর্ঘ লকডাউন এ যেন পড়াশোনার সাথে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তাই এই অনলাইন ক্লাসের প্রচেষ্টা। তাই একে কাজে লাগাতে হবে।
এ বিষয়ে শিক্ষকরা আরও জানান যদিও তাদেরকে অনেক ধরনের টেকনিক্যাল সমস্যায় পড়তে হয় তবুও তারা খুশি যে যাদের কষ্টের বিনিময়ে হলেও এই মহামারী পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা সুস্থ থেকে অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণ করছে। আর এভাবে অনলাইন ক্লাস নিতে পেরে তারাও দক্ষতা অর্জন করতে পারছে যেন ভবিষ্যতে দীর্ঘ ছুটি অনলাইনের মাধ্যমে মোকাবেলা করা যায়।
এক্ষেত্রে শিক্ষক- শিক্ষিকা, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকবৃন্দের একান্ত প্রচেষ্টাই পারে বাংলাদেশের অনলাইন শ্রেণিকক্ষের সফলতা আনতে।