গতি ফিরছে চীনের অর্থনীতিতে
পলাশ দেব রায়ঃ
করোনাভাইরাস মহামারীর শুরুর ধাক্কা চীনকে দিয়ে শুরু হলেও ধীরে ধীরে আবার চীনের অর্থনীতি চাঙ্গা হয়ে উঠছে। এ বছরের প্রথম প্রান্তিকে চীনের প্রবৃদ্ধি এক ধাক্কায় ৬.৮ শতাংশ নেমে যায়। উহানের মতো কিছু শহরে পুরো জনজীবন কার্যত স্থবির থাকে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত এপ্রিল থেকে মে মাসের মধ্যে এই অবস্থার যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অর্থনীতির দেশে বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে প্রায় ৩.২ শতাংশ হারে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) বৃদ্ধি পাওয়ায় ভালোভাবেই এর গতি ফিরেছে বলে মনে করা হচ্ছে। চীন সরকারের পরিসংখ্যান ব্যুরোর ভাষ্যমতে, বছরের প্রথম ৬ মাসে চীনের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ১.৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
চীনের অর্থনীতিকে পর্যবেক্ষণকারী বেশ কিছু সংস্থার ভাষ্য অনুযায়ী, সরকার ট্যাক্স প্রত্যাহারের মতো কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করছে যা ব্যবসায়ীদেরকে সাময়িক ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করছে। বিবিসির সিঙ্গাপুর প্রতিনিধি ম্যারিকো ওই এই উত্তরণকে অনেকে ভি শেপের সাথে তুলনা করছেন। অর্থনৈতিক মন্দা ও অচলাবস্থা কেটে যাওয়ার ওপর ভিত্তি করে এই শেপ ঘোষণা করা হয়ে থাকে। যেমন, ভি শেপ এর ক্ষেত্রে ইংরেজি ভি অক্ষরের মতো প্রথমে মন্দার শিকার হলেও এ থেকে উত্তরণ ঘটেও খুব দ্রুত। চীনের ক্ষেত্রেও এমনটা হচ্ছে বলে অনেক অর্থনীতিবিদই মনে করছেন।
তবে চীনের সবগুলো সেক্টরে এই উত্তরণের হাওয়া লাগেনি। বরং খুচরা মার্কেটে এখনো গতি ফেরেনি। বিশেষ করে ভ্রমণ, রেস্তোরাঁ, বিনোদনকেন্দ্র প্রভৃতি অনেক খাত শিগগিরই সংকট থেকে উত্তরণের পথ দেখছে না। তার সাথে হংকং নিয়ে চলমান দ্বন্দ্বও চীনকে ভাবাচ্ছে। এর পরে আবার যুক্তরাজ্য ফাইভ-জি প্রযুক্তির সম্প্রসারণে হুয়াওয়েকে কাজ করতে না দেবার ঘোষণা দিলে চীন সরকার সরাসরি এর প্রতিবাদ করে বিবৃতি দেয়।
তবে কল কারখানাগুলোতে উৎপাদন বৃদ্ধির হার অচলাবস্থাকে কাটিয়ে ওঠার ইঙ্গিত দিচ্ছে। এই অবস্থায় বহির্বিশ্বের সাথে চীনের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্কই ব্যবসার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে বলেই মনে করা হচ্ছে।